আজ ঈদ রাতে বার বার নিজের কাছে প্রশ্ন জাগছে আমি নিজে এই গানটির চেতনা কতটুকু ধারণ করি? ছুঁড়ে আসা পাথরসবিস্তার
আদিম অনার্য আমি, আধুনিক এ পোশাকের নিচে একই খিদে একই লোভ, একই অনুভবে আছে আজও সেই পুরাতন কাম কাতরতা। প্রাচীনসবিস্তার
রাত গভীর হয়ে আসে জানালার পাশে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় বৃক্ষের পত্রপুষ্প নির্জীব অশরীরি মূর্তির মতো ঘন জমাট বাঁধে। আকাশে শুক্লপক্ষের চাঁদসবিস্তার
আরণ্যক, চ্-য়ে চয়ন, চ-য়ে চায়ী … চ-য়ে চার … এইটুকু না জেনেই কা-না-কা-নি কথার গুঞ্জনে আলাপনে ফুলের পাপড়ির বাসরে নাচিসবিস্তার
না-জানি যতনে বোনা কত যে লালিতকথামালা তব পায়ে হয়েছে দলিত।তুমি মোর শেষ চিঠি যখন পুড়েছ;বই খুলে ফুল দুটি বাহির করেছ,তখনসবিস্তার
মুদিত নয়নে দেখে সেদিন নদীর ধারে মনে ক্ষীণ দ্বিধা রেখে অবশেষে শুধি তারে— “যে চোখে স্বপন খুঁজে পায় পথিকের মন,সবিস্তার
এসব পুরনো রোগ। মাঝে মাঝে কচুরিপানা ভর্তি পাঁক হতেভুস করে ভেসে ওঠে আর ভুবন চিল ডানা মেলে আকাশে চক্রাকারে ভাসে।সবিস্তার
জীবনে কিছু কথা থাকে লুকিয়ে রাখার জন্য কিছু কথা থাকে চিরকাল বয়ে বেড়ানোর জন্য কিছু কথা থাকে শুধু দুজনের চোখাচোখিসবিস্তার
জলে যে জীবন আছে তারাও কি জ্বলে প্রেমে পড়ে তাদেরও কি আছে নাকি সামাজিক বাধা, এক হতে তারাও কি ঘরসবিস্তার
সুখের এবং অসুখের দুদিন মাত্র সময় জীবনও তাই, আলোকোজ্জ্বল, মেঘময়। সময় যা করে তার তরে নিন্দা যে করে, তারে বল,সবিস্তার
সরলতাকে ধিক্কার দিও না প্রকৃতির নির্মলতা, জলের স্বচ্ছতা সেখানে। কোনো চাতুরি ছিল না। খুব করে চাইলে, বলতেই পারতে ছুটে কিসবিস্তার
মানুষের কল্পিত সুখটাই বোধকরি বেশি সুন্দর তেল-নুন ছাড়াই ঘরকন্না এখানে… অনায়াসে রাত-দিন স্বপ্নসৌধ গড়ে, নির্বিঘ্নে, ইট-কাঠ-পাথরে সেজে সংসারী। ঘর-বারান্দায় নরমসবিস্তার