বাংলাদেশে ইংরেজ রাজত্ব একদিনে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এটা মনে করা ভুল হবে যে, পলাশীর বিপর্যয় একটিমাত্র বিশ্বাসঘাতকতার ফল। এদেশে বিদেশিদের বিশেষ করে ইংরেজদের আগমন ও কুঠি স্থাপন থেকেই রচিত হতে থাকে পলাশীর পটভূমি। আর দিল্লিই সে পটভূমি একের পর এক তৈরি করে দিতে থাকে।
১৫৯১ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজ বণিকদের ন্যায় ইংরেজ বণিকদেরকেও বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য ইংল্যান্ডের রানি এলিজাবেথ সম্রাট আকবরের নিকট দূত মারফত একটি অনুরোধ পত্র প্রেরণ করেন। ১৬১৫ খ্রিষ্টাব্দে স্যার টমাস-রো নামে একজন ইংরেজ দূত সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে আসেন এবং এ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের অনুমতি প্রাপ্ত হন। ১৬৩৩ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে মহানন্দা নদীর মুখে হরিহরপুরে ইংরেজ ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ প্রথম বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করে। দীর্ঘকাল পর তারা ১৬৫১ খ্রিষ্টাব্দে হুগলিতে আর একটি কুঠি স্থাপন করে।
সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় পুত্র শাহজাদা সুজা বাংলার সুবেদার (১৬৩৯-৬০ খ্রি.) থাকাকালে জেব্রাইল ব্রাউটন নামে একজন ইংরেজ চিকিৎসকের চিকিৎসায় সন্তুষ্ট হয়ে ইংরেজ বণিকদের বার্ষিক মাত্র তিন হাজার টাকা করের বিনিময়ে সারা বাংলায় বিনাশুল্কে বাণিজ্যের অধিকার দান করেন। সুবেদার সুজা তাদেরকে বাণিজ্য কুঠি নির্মাণের অনুমতিও দেন। অবাধ বাণিজ্য করার সুযোগ লাভ করে কোম্পানি তার বাণিজ্য দ্রুত সম্প্রসারণ করতে থাকে। কাশিমবাজার, পাটনা, ঢাকা, রাজমহল, মালদহ-সহ বিভিন্ন স্থানে তারা কুঠি স্থাপন করে। ১৬৮০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ কোম্পানির বাণিজ্য দেশের সর্বত্র বিস্তার লাভ করে।
সুবেদার মীরজুমলার (১৬৬০-৬৩ খ্রি.) শাসনামলে শুল্ক না দেওয়ায় ইংরেজদের সাথে তাঁর (মীরজুমলার) বিরোধ হয়। এমনকি শুল্ক দাবি করায় ইংরেজরা উত্তেজিত হয়ে মীরজুমলার নৌযান জোর করে দখল করে নেয়।
শেষ পর্যন্ত আপস মীমাংসা হয়। সুবেদার শাহজাদা সুজার আমলে ইংরেজদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, তা বহাল রেখে মীরজুমলা একটি পরওয়ানা বা দস্তক মঞ্জুর করেন (১৬৬০খ্রি.)।
সুবেদার শায়েস্তা খান (১৬৬৩-৭৮/১৬৭৯-৮৮ খ্রি.) ১৬৭২ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজদেরকে বিনা-শুল্কে ব্যবসা করার অনুমতি দেন। ফলে হরিপুর, পাটনা, কাশিমবাজার প্রভৃতি স্থানে তাদের বাণিজ্যকুঠি গড়ে ওঠে। ১৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট আওরঙ্গজেব একটি ফরমান দ্বারা ইংরেজ বণিকদের মুঘল সাম্রাজ্যের সর্বত্র অবাধ বাণিজ্য করার অনুমতি দেন। এজন্য ইংরেজদের মুঘল সরকারকে পণ্য দ্রব্যাদির ওপর শতকরা দুই টাকা এবং জিজিয়া কর হিসেবে দেড় টাকা দিতে হতো।
সুবেদার শাহজাদা সুজা যখন বার্ষিক মাত্র তিন হাজার টাকা করের বিনিময়ে বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার অধিকার দেন, তখন তাদের ব্যবসা খুবই সামান্য ছিল। এরপর তাদের ব্যবসায়ের খুবই উন্নতি হয়। ১৬৬৮ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজ বণিকদের বাংলা হতে রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩৪,০০০ পাউন্ড, ১৬৮১ খ্রিষ্টাব্দে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২,৩০,০০০ পাউন্ডে। কিন্তু তারা পূর্বেই মতোই মাত্র তিন হাজার টাকা নজরানা দিত এবং বাণিজ্য শুল্ক দিতে অস্বীকার করত। এতে সরকার ন্যায্য শুল্ক হতে বঞ্চিত হতো এবং রাজকোষের প্রচুর ক্ষতি হতো। অন্যদিকে দেশীয় ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের প্রথামত সকল কর দিতে হওয়ায় তারা এই অসম প্রতিযোগিতায় টিকতে পারত না। মুঘল সম্রাট দাক্ষিণাত্যে মারাঠাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত থাকায় অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন হওয়ায় জনগণ ও অন্যান্য ব্যবসায়ীর মতো শায়েস্তা খান ইংরেজদের ওপর তারজন্য চাপ দিলে ইংরেজরা তাঁর (শায়েস্তা খানের) বিভিন্ন নির্দেশ উপেক্ষা ও অমান্য করে। স্থানীয় কর্মচারীগণ জোরপূর্বক ইংরেজ বণিকদের নিকট হতে কর আদায় করলে ও ইংরেজদের নানাবিধ অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি হয়। ইংরেজরা নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য ইংল্যান্ডের সম্রাট দ্বিতীয় জেমসের নিকট হতে যুদ্ধের অনুমতি নিয়ে ১৬৮৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনটি জাহাজ ভর্তি সৈন্য হুগলিতে আনে। শেষ পর্যন্ত বেশ কিছু যুদ্ধের পর শায়েস্তা খান বাংলা হতে ইংরেজদের বিতাড়িত করে তাদের ঔদ্ধত্যের শাস্তি দেন (জুন, ১৬৮৭ খ্রি.)। এরপর আগস্ট ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার শায়েস্তা খান পুনরায় ইংরেজ বণিকদের বাংলায় ফিরে আসতে অনুমতি দেন। কিন্তু বোম্বাই ও পশ্চিম উপকূলে ইংরেজদের সঙ্গে মুঘলদের সংঘর্ষ বেধে যাওয়ায় শায়েস্তা খান তাঁর অনুমতি প্রত্যাহার করেন। এরপর শায়েস্তা খান বাংলা হতে আগ্রায় বদলি হন।
তৎপর উইলিয়াম ইীথের নেতৃত্বে ইংল্যান্ড হতে একটি নৌবহর ভারতবর্ষে এসে ১৬৮৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দর আক্রমণ করে। কিন্তু সুবিধা না করতে পেরে মাদ্রাজে সরে পড়ে। ইংরেজদের এই ঔদ্ধত্য সম্রাট আওরঙ্গজেবের ক্রোধের সঞ্চার করল। তিনি বোম্বাই আক্রমণ করেন। অবশেষে ইংরেজরা ক্ষমা প্রার্থনা করে। ইংরেজগণ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেড় লক্ষ টাকা-সহ দখলকৃত ভারতীয় বাণিজ্য পোতগুলো ফিরিয়ে দিলো। ১৬৯০ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজ কোম্পানি সম্রাট আওরঙ্গজেবের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে। সে চুক্তি মোতাবেক ইংরেজ কোম্পানি সারাদেশে বার্ষিক তিন হাজার টাকা রাজস্বের বিনিময়ে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার অধিকার পায়। সম্রাট আওরঙ্গজেবের নির্দেশনা অনুসারে বাংলার সুবেদার ইব্রাহিম খান (১৬৮৯-৯৭ খ্রি.) সমস্ত ইংরেজ বন্দিকে মুক্তি দিলেন।
ইংরেজদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে সুবেদার ইব্রাহিম খান বাংলায় বাণিজ্যকুঠি পুনঃস্থাপনের জন্য ইংরেজ প্রতিনিধি জব চার্নককে পত্র লিখলেন (১৬৯০ খ্রি.)। এবছর আগস্ট মাসে জব চার্নক সুতানুটিতে সদল বলে আগমন করলে হুগলির মুঘল সম্রাটের অধীনস্থ কর্মচারীরা তাদেরকে সম্বর্ধনা জানায়। জব চার্নক সুতানুটি গ্রামে তার দপ্তর স্থাপন করে ভবিষ্যৎ কলকাতা নগরী ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন। পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৬৯১ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে এই মর্মে হাসিব-উল-হুকুম (রাজকীয় ফরমান) জারি করা হলো যে, কর হিসাবে বার্ষিক তিন হাজার টাকা প্রদানের শর্তে ইংরেজরা বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে। এরপর বাংলায় ইংরেজদের ব্যবসা-বাণিজ্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৬৯৬ খ্রিষ্টাব্দে তারা নব প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যকুঠি সুরক্ষিত করার অনুমতি লাভ করে।
ইংরেজ বণিকগণ কয়েক হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে পরবর্তী সুবেদার শাহজাদা আজিমউদ্দিন (আযিমুশশান ১৬৯৭-১৭১২ খ্রি.) এর কাছ থেকে অবাধ ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ লাভ করে। শাহজাদা আজিমুদ্দিনের শাসনকালে ১৬৯৮ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজরা বার্ষিক ১২ শ’ টাকা খাজনা দেওয়ার শর্তে কলকাতা (কালীঘাট), সুতানটি ও গোবিন্দপুর এ তিনটি গ্রামের জমিদারি লাভ করে। পরবর্তীকালে এ তিনটি গ্রাম নিয়ে মহানগরী কলকাতা গড়ে ওঠে। একই বছরে অর্থাৎ ১৬৯৮ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় ইংল্যান্ডের তৎকালীন রাজা উইলিয়ামের নামানুসারে ফোর্ট উইলিয়াম নামে তারা একটি সুরক্ষিত দুর্গ তৈরি করে। দিল্লির শাসকগোষ্ঠী সেদিন বুঝতে পারেনি যে, এই জমিদারি ধীরে-ধীরে প্রসারিত হয়ে একদিন সারা দেশই ইংরেজ কোম্পানির রাজত্বে পরিণত হবে।
১৭১৩ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট ফররুখশিয়ার দিল্লির সিংহাসনে আরোহন করে তার শিশুপুত্র ফরকুন্দাশিয়ারকে বাংলার সুবেদার নিয়োগ করেন এবং মুর্শিদকুলি খানকে নায়েব সুবেদার নিযুক্ত করেন। ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে মুর্শিদকুলি খান বাংলার পূর্ণ সুবেদার নিযুক্ত হন এবং সম্রাট ফররুখশিয়ারের মৃত্যু (১৭২৭ খ্রি.) পর্যন্ত এ পদে বহাল ছিলেন।
১৭১৩ খ্রিষ্টাব্দে মুর্শিদকুলি খান ক্ষমতাপ্রাপ্ত হওয়ার পর পূর্ববর্তী সরকারের সমস্ত আদেশ বাতিল করে দেন এবং অন্যান্য বণিকদের ন্যায় ইংরেজদেরকেও একইভাবে শুল্ক প্রদানের নির্দেশ দেন। কারণ তিনি মনে করতেন শাহী ফরমানে যাই থাকুক না কেন, অপরাপর কোম্পানির মতো ইংরেজ বণিকদেরকেও নির্ধারিত বাণিজ্য শুল্ক দিতে হবে। তিনি ইংরেজদের একচেটিয়া ব্যবসায়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। ইংরেজ কোম্পানির লোকজন অবস্থা বেগতিক দেখে মুঘল দরবারে সম্রাট ফররুকশিয়ারের নিকট একটি প্রতিনিধি দল প্রেরণ করেন। এ সময় সম্রাট অসুস্থ ছিলেন। এ প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য চিকিৎসক উইলিয়াম হ্যামিল্টনের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠায় এবং প্রচুর পুরস্কার লাভ করায় সম্রাট ফররুখশিয়ার ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে অভূতপূর্ব বাণিজ্যিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এক ফরমান জারি করেন। ফরমানের প্রধান ধারাগুলো নিম্নরূপ :
- ইংরেজ কোম্পানি সরকারকে বার্ষিক তিন হাজার টাকা রাজস্ব দানের পরিবর্তে সারা দেশে বিনাশুল্কে অবাধ বাণিজ্য করবে।
- কোম্পানির মালামাল কোথাও চুরি গেলে সরকার তা ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে বা সবমূল্যের ক্ষতিপূরণ দিবে।
- কোনো শুল্ক-চৌকিতে কোম্পানির নৌকা-জাহাজ কোনোরকম অজুহাতে আটক করা যাবে না।
- মুর্শিদাবাদের টাকশালে কোম্পানি তার নিজস্ব টাকা তৈরি করবে।
- সুবেদার কলকাতার আশেপাশে আরও ৩৮টি গ্রামের উপর জমিদারি সনদ কোম্পানিকে দিবে।
- কোম্পানির অধীনস্থ কর্মচারীদের বিচার করার অধিকার কোম্পানির থাকবে। কোনো কর্মচারী ঋণগ্রস্ত হয়ে পালিয়ে গেলে তাকে কুঠি প্রধানের নিকট সোপর্দ করা হবে।
এসব ছাড়াও আরও বহু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। ফররুখশিয়ারের এ ফরমান দ্বারা দেশের সার্বভৌমত্বকে ব্যাপকহারে বিলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাংলার ভাগ্য নিয়ে সেদিন দিল্লি কিনা দুঃখজনক খেলা খেলেছিল। ঐতিহাসিক ওরমে (Orme) এ ফরমানকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মহাসনদ (Magna Carta) নামে অভিহিত করেছেন।
মুর্শিদকুলি খান এ ফরমানের মারাত্মক পরিণাম সম্পর্কে চিন্তা করে বিচলিত হলেও সম্রাটের একজন কর্মচারী হিসেবে এর সরাসরি বিরোধিতা করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তিনি ইংরেজদেরকে উৎপীড়ন না করে বাণিজ্যে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ঢাকাতে তার সহকর্মীকে নির্দেশ দিয়ে এক পরওয়ানা জারি করেন। তবে মুর্শিদকুলি খান ও তাঁর পরবর্তী সুবেদার সুজাউদ্দিন খান (১৭২৭-৩৯ খ্রি.) ও আলীবর্দী খান (১৭৪০-৫৬ খ্রি.) একদিকে যেমন ইংরেজদেরকে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন, অন্যদিকে তাদের উপর কর্তৃত্ব বজায় রাখার চেষ্টাও করেছেন। এরজন্য মাঝেমধ্যে বিরোধও সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আলীবর্দী খানের মৃত্যুর পর এ কৌশলের রাজনীতির অবসান ঘটে এবং সে সঙ্গে শুরু হয় এদেশে ইংরেজ আধিপত্য স্থাপনের তৃতীয় পর্যায়।
উল্লিখিত বর্ণনাসমূহ হতে এটাই স্পষ্ট যে, সামান্য কিছু স্বার্থের বিনিময়ে দিল্লি এবং/বা দিল্লির নিযুক্তীয় সুবেদারগণ একের পর এক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এখানে এক দানব গড়ে তুলেছিল–যারা ক্রমশ হয়ে উঠেছিল অপ্রতিরোধ্য। আর পলাশীর ঘটনার মধ্য দিয়েই দিল্লির মুঘল সম্রাট ফররুখশিয়ারের ফরমান পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকরী হয়। এরপরও সেই দিল্লি পলাশীর যুদ্ধের পর ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজ কোম্পানিকে বাংলার দেওয়ানি দিয়েছিল। সে দানব শুধু বাংলাকেই গ্রাস করেনি এবং একদিন সে বাংলার সম্পদে বলীয়ান হয়ে দিল্লিকেও গ্রাস করে নেয়।