পটুয়া — এই শব্দটি উচ্চারন করলেই যার নামটি সবার মনে ভেসে ওঠে তিনি শিল্পী কামরুল হাসান।
এ দেশের চারু ও কারুকলায়, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের পরেই তাঁর নামটি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়।কামরুল হাসান কলকাতা মডেল এমই স্কুলে, কলকাতা মাদরাসা এবং কলকাতা ইন্সটিটিউট অফ আর্টস এ পড়াশোনা করেন।
১৯৪৫ সালে একটি ভৌত অনুশীলন প্রতিযোগিতায় তিনি বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ এবং বৃটিশ শাসনের অবসানের পর তিনি ঢাকায় আসেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন কর্তৃক, গভর্নমেন্ট ইন্সটিটিউট অফ ফাইন আর্টস (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অফ ফাইন আর্টস) প্রতিষ্ঠার সময় তিনি ওতোপ্রোতো ভাবে এর সংগে জড়িয়ে ছিলেন।
১৯৪৮ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি এখানে শিক্ষকতা করেন। কামরুল হাসান বরাবরই প্রগতিশীল রাজনীতির সংগে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৬৯ সালে অসহযোগ আন্দোলনে সরাসরি অংশ নেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রচার বিভাগের শিল্প শাখার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার, চারু শিল্পী সংসদ সম্মাননা, বাংলা একাডেমির ফেলো সম্মাননা সহ অনেক অনেক পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা।
পটুয়া কামরুল হাসান ১৯২১ সালের ২ ডিসেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। পটুয়া কামরুল হাসানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি!