» রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লেখক :

গুরুদেবের পাশের ওই ব্যক্তিটির একক ছবি দিয়েও আজকের এই পোষ্ট দেওয়া যেত। হয়তো সেটা সঙ্গতও হত। কিন্তু ওই ব্যক্তিটি নিজের জীবনে নিজেকে কখনই ‘রবীন্দ্রনাথ’ থেকে পৃথক করে ভাবেননি। বলতে গেলে রবীন্দ্রনাথের আদর্শ, পরিকল্পনা, চিন্তাভাবনা, এই সব কিছুকেই সফলভাবে রূপায়ণ করাকেই নিজের জীবনের এক এবং একমাত্র লক্ষ্য ও দায়িত্ব হিসাবে মাথায় তুলে নিয়েছিলেন ওই মানুষটি। আজীবন কাল তিনি নিজেকে নিভৃতে রেখে রবীন্দ্রনাথের কর্মকাণ্ডকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে গেছেন। অথচ এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না! কারণ তিনি নিজেও যে ছিলেন যথেষ্ট গুণের অধিকারী। বাংলা ইংরেজি দু’ভাষাতেই চমত্‍কার লিখতেন, ছবি আঁকতেন, কাঠের কাজ আর উদ্যানচর্চায় ছিলেন সিদ্ধহস্ত। কৃষিবিজ্ঞানের ভাল ছাত্র, খেলাধুলোয় উত্‍সাহী, সংগঠনী ক্ষমতা যথেষ্ট। ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় কসমোপলিটান ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই ক্লাবের বেসবল টিমের তিনি উত্‍সাহি উদ্যোক্তা। আর এত সবকিছু পরেও যা পড়ে থাকে, যেটা সবথেকে বড় পরিচয়, ওঁর পিতার নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আর এইখানেই এসে পড়ে তাঁর উপরে এক বিশাল চাপ। প্রত্যাশার চাপ। এমনকী জন্মের আগে থেকেই তাঁর উপরে এসে পড়েছিল এই চাপ। বিখ্যাত বাবা আর সুখ্যাত পরিবারের সন্তান হওয়ার যে কী জ্বালা!

পিতা রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা আর আনুগত্যের কারণে তাঁর নিজের সমস্ত গুণ এবং বিদেশের গবেষক জীবনের ভবিষ্যত্‍ ফেলে পিতার কাজে যোগ দিয়েছিলেন। বিশ্বভারতীর জন্য কত কিছু যে করেছেন!
পিতার আদর্শকে রূপ দিয়ে যখন সফলকাম হয়েছেন তখন সমস্ত প্রশংসা আর অভিনন্দনের মালায় অভিনন্দিত হয়েছেন কবি। কিন্তু যখন ব্যর্থ হয়েছেন তখন সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে নতমুখে সরে গিয়েছেন কবিপুত্র – এমনকি সে-ব্যর্থতায় নিজের ত্রুটি না থাকলেও।
আজীবন নিভৃতচারী এই মানুষটির খবর আমরা ক’জনই বা রাখি! যদিও তিনি কবিপুত্র, বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য।

পিতা রবীন্দ্রনাথের পদপ্রান্তে ছড়ানো ছিল পুত্র রথীন্দ্রনাথের নিঃশব্দ সেবার ডালি। বলাবাহুল্য সেই মহান সেবা যদিও পিতা রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশে উত্‍সর্গীকৃত, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা যে মানব-ইতিহাসের কাছেই নিবেদিত – তা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না।

ঠাকুর পরিবারে প্রথম বিধবা বিবাহের পাত্র তিনি।রবীন্দ্রনাথ প্রবর্তিত ব্রহ্মচর্যাশ্রমের প্রথম ছাত্র তিনি। পিতার আদেশে বিদেশ থেকে কৃষিবিদ্যা শিখে সেই বিদ্যাকে কী ভাবে কাজে লাগানো যায় বাংলার মাটিতে, তার পরীক্ষাও করেছেন তিনি। বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করে পিতা যে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন, তাকে এক বৃহত্তর লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়াই ছিল পুত্রের সারা জীবনের সাধনা৷ তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মৃণালিনী দেবীর জ্যেষ্ঠপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর..

১৮৮৮-র ২৭ নভেম্বর রথীন্দ্রনাথের জন্ম। গায়ের রং চাপা ছিল বলে এমনিতেই ‘কালো’ ছেলে বলে পরিচিত ছিলেন। সাত-আট বছর বয়সে একবার শিলাইদহ থেকে রোদে জলে পুড়ে ফিরে আসার পর রথীকে দেখে তাঁর জ্যাঠাইমা বলেছিলেন, — “ছিঃ, রবি তাঁর ছেলেকে একেবারে চাষা বানিয়ে নিয়ে এল।”

আর এমনই ভাগ্য, সেই ‘চাষা’ হয়ে ওঠার পাঠ নিতেই, ছেলেকে একদিন সত্যি-সত্যিই বিদেশে পাঠিয়ে দিলেন রবীন্দ্রনাথ! ১৯০৬ খ্রীষ্টাব্দে রথীন্দ্রনাথ আর তাঁর সহপাঠী সন্তোষচন্দ্র মজুমদারকে রবীন্দ্রনাথ পাঠিয়ে দিলেন ছাত্রদের এক দলের সঙ্গে জাপানে। কিছু দিন পর দু’জনে পৌঁছলেন আমেরিকার আরবানায়, ইলিনয়ের স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই হয়েছিলেন কৃষিবিজ্ঞানে স্নাতক।

১৯০৭-এ আমেরিকা থেকে রথী বাবাকে লিখছেন, বিদেশে তিনি কেবল মাটিই ‘বিশ্লেষ’ করছেন না, পরীক্ষা চালাচ্ছেন শস্য এবং পশুখাদ্য নিয়েও। উত্তরে রবীন্দ্রনাথ ছেলেকে অনুরোধ করছেন দেশে ফিরে এসে এখানকার কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা জাগাতে।

বাবাকে নিরাশ করেননি রথী। ১৯০৯-এ জমিদারি দেখাশোনার কাজে ফিরে এলেন শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে। আর রবীন্দ্রনাথও যেন এই সময় একেবারে আঁকড়ে ধরলেন রথীকে। চেনালেন বাংলার পল্লিসমাজ। ছেলের মুখে মন দিয়ে শুনতেন কৃষিবিদ্যা, প্রজননশাস্ত্র, অভিব্যক্তিবাদের কথা। রথীন্দ্রনাথ নিজে লিখছেন, – “১৯১০ সালের সেই সময়টাতে আমরা পিতাপুত্র পরস্পরের যত কাছাকাছি এসেছিলাম তেমন আর কখনো ঘটে নি।”

শিলাইদহে রথীন্দ্রনাথ গড়ে তুললেন প্রশস্ত খেত। মাটি পরীক্ষার গবেষণাগার। বিদেশ থেকে আমদানি করলেন ভুট্টা এবং গৃহপালিত পশুর খাওয়ার মতো ঘাসের বীজ। তৈরি করালেন দেশের উপযোগী লাঙল, ফলা, আর নানা যন্ত্রপাতি।আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের কাছ থেকে পাতিসরের জন্য চেয়ে আনলেন একটা ট্রাক্টর। চালাতেন নিজেই। বাংলার কৃষি আর কৃষকের হাল ফেরাতে যখন এমনভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন রথী, তখন আবার এল রবীন্দ্রনাথের ডাক। কারণ তাঁর বিয়ে স্থির হয়েছে! মৃণালিনী দেবী রথীর বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন গগনেন্দ্রনাথ-অবনীন্দ্রনাথের ভাগ্নী প্রতিমার সঙ্গে। ১৯১০ সালে সেই বাল্যবিধবা প্রতিমাকেই পুত্রবধু করে আনতে মনস্থির করলেন রবীন্দ্রনাথ। ঐ বছরেই ২৭ জানুয়ারি বিয়ে হল প্রতিমার সাথে রথীন্দ্রনাথের। নিজের বিয়ে নিয়ে রথীন্দ্রনাথ স্মৃতিকথায় লিখেছিলেন, ‘‘আমাদের পরিবারে এই প্রথম বিধবা বিবাহ।’’

বিয়ের কয়েক মাস পর প্রতিমাকে শিলাইদহে নিয়ে এলেন রথী। এর পর হঠাৎ একদিন আবার ডাক এল পিতার কাছ থেকে! শান্তিনিকেতনে আশ্রমবিদ্যালয়ে এ বার তাঁর দরকার রথীকে! শিলাইদহের প্রিয় সবুজশ্যামল পরিবেশ ছেড়ে তাঁকে চলে আসতে হল বীরভূমের ঊষর কঠিন লাল প্রান্তরে। ইতিমধ্যে প্রতিমাকে লেখা রথীন্দ্রনাথের তারিখবিহীন কয়েকটা চিঠিতে বোঝা যায়, দু’জনের বোঝাপড়ার এক সময় কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছিল। মন খুলে দু’জনে আসতে পারছেন না কাছাকাছি। হয়তো সেই দুরত্ব ঘোচাতেই ১৯২২-এ দু’জনের সংসারে এলেন তাঁদের পালিতা কন্যা নন্দিনী, ‘দাদামশায়’ রবীন্দ্রনাথের আদরের ‘পুপে’। কিন্তু দুরত্ব তবু মেটেনি।

রথীন্দ্রনাথ বহু বছর ছিলেন বিশ্বভারতীর কর্মসচিব তবুও বিশ্বভারতীর কাজে কোনদিনই তিনি তেমন আনন্দ খুঁজে পাননি। রবীন্দ্রনাথ মারা যাওয়ার পর তাঁর মূল কাজ ছিল, বিশ্বভারতীর ভাঙন ঠেকিয়ে রাখা। আর সেই জন্যই বাবার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানকে একটা স্থায়িত্ব দিতে তাঁরই উদ্যোগে ১৯৫১-য় বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হলে, রথীন্দ্রনাথ হলেন তার প্রথম উপাচার্য। তিনিই নিজস্ব পদ্ধতিতে বহু পরিশ্রমে ধীরে ধীরে তৈরি করলেন বিশ্বভারতীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ‘রবীন্দ্রভবন৷’ কবির রচনার সমস্ত পাণ্ডুলিপি থেকে তাঁর বইয়ের বিভিন্ন সংস্করণ সংরক্ষণের সেই অসামান্য সংগ্রহ উত্তরকালে রবীন্দ্রনাথ -বিষয়ক সমস্ত গবেষণাকর্মের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠল৷ কিন্তু,
রথীন্দ্রনাথ খুব শীঘ্রই বুঝলেন, আশ্রম থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে শান্তিনিকেতনের বদলে যাওয়াটা আসলে অশান্তিরই নামান্তর! ক্ষমতার রাজনীতি তো ছিলই, তার সঙ্গেই এ বার বিশ্বভারতীতে জুড়ে গেল নিয়মের ঘেরাটোপ!

ব্যক্তিগত আক্রমণ আর কুৎসায় নাজেহাল হয়ে গেলেন রথীন্দ্রনাথ। আর্থিক অনিয়মের মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টাও হল তাঁকে। বাঁচাল আদালত। তবে সব গুঞ্জনকে ছাপিয়ে গেল আশ্রমের ইংরেজির অধ্যাপক নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী মীরার সঙ্গে রথীন্দ্রনাথের প্রথাভাঙা অন্তরঙ্গতা। আর ওদিকে প্রতিমাদেবীর সাথে তাঁর সম্পর্ক এমনই পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে একই বাড়িতে বাস করা সত্ত্বেও তাঁদের সাক্ষাৎ হত কদাচিৎ। শেষে যখন কুৎসায় কান পাতা দায় হল, তখন আচার্য জওহরলাল নেহরু স্বয়ং নির্মলচন্দ্র আর মীরাকে শান্তিনিকেতন থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিলেন রথীন্দ্রনাথকে। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল অপমানিত রথীন্দ্রনাথের। নিজেই পদত্যাগ করলেন। কারণ হিসেবে লিখলেন, শারীরিক অসুস্থতা। লিখছেন, “ আমাকে চলে যেতেই হবে এই কলুষিত আবহাওয়া ছেড়ে। ….. টাকার চেয়ে যেটা বেশি দরকার মনে করি সেটা হচ্ছে একটু যত্ন ও সমবেদনা।” তারিখ ছিল ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৩। এই বিচ্ছিন্নতা এতটাই বেড়েছিল যে, রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষের উৎসবে পর্যন্ত আমন্ত্রিত হন নি তিনি৷ তবু বাবার শততম জন্মবর্ষে একবার এসে ছুঁয়ে গেছিলেন আশ্রমের মাটি।

বিশ্বভারতী ছাড়ার আগে করে বসলেন এক ‘অসম্ভব দাবী; নির্মলচন্দ্রের কাছে। স্বেচ্ছা-নির্বাসনে তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য নির্মলের কাছে এক রকম সোজাসাপটা চেয়েই বসলেন বয়সে একত্রিশ বছরের ছোট মীরাকে। শিশুপুত্র জয়ব্রতকে নিয়ে মীরাকে রথীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেহরাদুনে গিয়ে বসবাসের অনুমতিও দিয়ে দিলেন উদার-হৃদয় নির্মলচন্দ্র। যাওয়ার আগে প্রতিমাকে রথীন্দ্রনাথ জানিয়ে গেলেন, লুকিয়ে নয়, সবাইকে জানিয়েই তিনি মীরাকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন।

১৯৫৩ থেকে ১৯৬১। দেহরাদুনে প্রথমে তিনটে ভাড়াবাড়ি। তার পর ’৮৯-এ রাজপুর রোডে তাঁর নিজের তৈরি বাড়ি ‘মিতালি’তেই মীরাকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেন রথীন্দ্রনাথ। তবুও প্রতিমা দেবীকে ভুলতে পারেননি রথীন্দ্রনাথ। ভাল থাকার খবর দিয়ে দেহরাদুন থেকে প্রতিমাকে নিয়মিত মমতায় মাখা চিঠি লিখেছেন রথীন্দ্রনাথ। ওদিকে অদৃষ্টের হাতে সব ছেড়ে দিয়েও রথীর জন্য উতলা হয়েছেন প্রতিমা..

৩রা জুন ১৯৬১। দেহরাদুনের ‘মিতালি’তে, রবীন্দ্রনাথের শতবাৰ্ষিকী জন্মদিনের দিনকয়েক আগে, চলে গেলেন প্রতিভাবান পুত্র রথীন্দ্রনাথ।
কৃষিবিদ্যা বা সাংগঠনিক কাজকর্ম ছাড়াও রথীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। ব্যক্তিগত জীবনের নিরন্তর টানাপোড়েন, ইচ্ছে ও কর্তব্যের সংঘাত তাঁর জীবনকে বিব্রত করেছে বারবার। তবু তারই মধ্যে এঁকেছেন মিশ্রমাধ্যমে বহু উল্লেখযোগ্য ল্যান্ডস্কেপ আর ফুলের ছবি। চামড়ার উপর কারুকাজ, দারুশিল্পেও ছিল অনায়াস দক্ষতা। আসবাব, স্থাপত্য, উদ্যান নির্মাণেও ছিলেন অনন্য। তৈরি করতেন গোলাপ, জুঁই, মগরা সহ রকমারি ফুলের আতর আর সুগন্ধি পাউডার। তাঁর আতরের বাজারি নাম ছিল ‘Arty Perfume’।রান্নার, জ্যাম, জেলি, আচার আর দই পাতার হাত ছিল চমৎকার।চাষ করতেন মৌমাছির, নেশা ছিল শিকারেরও। গান গাইতেন, বাজাতেন এস্রাজ। চিঠি আর দিনলিপি ছাড়াও লিখেছেন কবিতা, গল্প প্রবন্ধ। ইংরেজিতে প্রকাশিত তাঁর বই “On the Edges of Time”। বাবার নির্দেশে অনুবাদ করেছিলেন অশ্বঘোষের ‘বুদ্ধচরিত’। তাঁর লেখা অন্য দুটি বই: ‘প্রাণতত্ত্ব’, এবং ‘অভিব্যক্তি’।

সর্বোপরি তিনিই হলেন আজকের বিশ্বভারতীর সর্বাগ্রগণ্য প্রাণপুরুষ। তবু তাঁর জীবৎকালে বিশ্বভারতী থেকে তাঁর বহুতর অবদানের কোনো মূল্য পাননি। তিনি চিরকালই থেকে গিয়েছেন এক বিস্মৃত নায়ক। হয়তো রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিত্বের ছটায় ঢেকে যাওয়া পর্দার পেছনের এক অকীর্তিত কুশীলব। আজ জন্মদিবসে এই বর্ণময় ব্যক্তিত্বকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম..🌷

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা (নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *