» চ-বর্গীয়

আরণ্যক,

চ্-য়ে চয়ন, চ-য়ে চায়ী … চ-য়ে চার … এইটুকু না জেনেই

কা-না-কা-নি কথার গুঞ্জনে

আলাপনে

ফুলের পাপড়ির বাসরে নাচি নাচি

মৌমাছি

চয়ন করছে মধুর সংসার … মৌচাকবিতান … বিনিময় দিয়ে চারের পরাগায়ণ …

 

চাঁদ জানে না— চয়নরহস্যে

আলোকদাতায় (মানুষের মুখের ভাষায়) তাহার নাম চাঁদ!

রুপালী আলোর বিকিরণে

(পূর্ণ

সক্রিয়ন

মিতির আধারে)

ঝলমলে রূপ হৈল পূর্ণিমা— ঝলমলে আলোয় রাঙ্গা গৃহদাহে

দেখে দেখে আষাঢ়ী পূর্ণিমা,

বিবিধ মিথের মাঠে কে কক্ষণ পায় মানবজনম …

চাঁদ

এও জানে না, অর্থ ও অনর্থে

চয়নরহস্যে

আলোকদাতায়

জুয়াড়ীর আঙ্গুলের শিকারী টোকায় ঘুরছে কয়েন, চদ্রিমা সদৃশ!

এইসবের

কিছুই না জেনে তবুও সে চাঁদ— বাধভাঙ্গা

উছলে পড়া আলোয়

একৈ মুহূর্ত্তে

নানান রকম পরিবেশে রূপের মাধুরী খোলে নানান রকম সৌন্দর্য্যে! …

 

চাঁদের আলোয়

রাঙ্গানো মনের বিবিধ খবর

বনের চাতক জানুক কিংবা না জানুক, আমি জানি—

(প্রণয়বিধুর) চাঁদের আলোর

চারের লীলার উৎস সাতের সূর্য্য …

(তাই

ক্রিয়ার আলোকে

চাঁদের বানান ‘চ’ ও সূর্য্যরে বানান ‘স’ বর্ণ দিয়ে সুরু …)

আরো জানি—

চয়নে মধুর স্পর্শ, জয়

(চি… কুৎ কুৎ কুৎ …) ছোঁয়াছুওয়ি খেলায়

কিংবা

চলার পথেই

দৃষ্টির মায়াবী ক্যানভাসে

ছুঁড়ে মারছ কলসীর কাণা— পোড়া মাটীর চাঁরা।

যাহা দেখে দেখে সবুজের ভালবাসায়

ফুল, ফল ও বীজের মন্ত্রনালয়ে (চারের চয়নে) বাড়ছে মাটীর মর্ম্মে

(চারের আধার) চারা! …

জীবনের

মিলনমেলায়, সাতের যুগলে

তোমার

সাতপুরুষ ও চোদ্+দ গোষ্টীর খবরাখবর জানে

(অনুস্বার-বিসর্গ-চন্দ্রবিন্দুর) চয়নের সংসার—

যেমন, পিতৃকাবর্ণ

চিত্রার্পিত (ং) অনুস্বার শব্দের প্রত্যেকটা বর্ণ জানে,

‘সাতের সত্তায়’

ঘাসের ডগার (\) ’পরে চুপচাপ বসে থাকা ভোরের শিশির (০/বিন্দুরূপিণী)—

প্রকৃতিপ্রত্যয়ে

কিংবা

প্রকৃতিপুরুষে

সাত দুগুণে চোদ্+দ সংখ্যায়

দুই

ভাগের নন্দনে গমনমুখরে হ্ও (ঃ) বি-সর্গ …

আবার

‘বিসর্গ’ শব্দে

সাতের সত্তায় আবর্ত্তিত ‘বর্ণের পঞ্চক’ তুমি ইন্দ্রীয়পুরাণ,

মাতৃকাবর্ণ

( ঁ )

চন্দ্রের বাঁকানো গর্ভে

রূপায়িত

(বিন্দুরূপিণীর উদ্ভাসে জাগা) চারের চয়িত ভ্রুণ,

চল্লিশায়

ধারণ করেছ সপ্তাঙ্গ তত্ত্বের দেহ, (সত্তার আলোকে) সত্তর সহস্র পর্দ্দা …

চন্দ্রের চার এবং বিন্দু’র পাঁচের অভিসারে

(নয়টা বর্ণের নয়ন দর্শনে)

দশের দিশায়

চয়নে

(আগমনী গানের) ধ্বনির নন্দন,

নয়টা খোলা একটা বন্ধ

(গোপন চাবির মর্ম্মে গড়া) দেহঘড়ী চোদ্দতলার

দশটা নালায়

সপ্তাঙ্গ তত্ত্বের মাঝারের ভাষিক প্রকাশে

সাতটা প্রকৃতি, সাতটা পুরুষে,

চোদ্দটা স্বরের নিবিড় ব্যাঞ্জনে ব্যাক্ত কর ‘চার আনার কথন’—

জানে

চোখ, কান, নাক,

ঠোট, দাঁত,

জিহ্বা ও গলার দ্বৈতসত্তা! …

তাই

সাতের সালাতে

চয়নে সৌয়াব; পাঁচের ওয়াক্তে পড় (দিনমান)

ছুন্নত, ফরদ, নফল ও ওয়াযিব—

চার রকম সালাত! …

জেনে নাও, (চারের চয়নে)

ত্রিশপারা কোরাণ আসে (চারের দশক) চল্লিশের নবুয়াতে,

চারের চয়নে

ছিচল্লিশ রাকাত সালাত

(পালনের ডাক) আসে পাঁচের দশক ‘পঞ্চাশে’ …

চতুর্ব্বেদের দেশে, চার আর্য্যসত্যে

এইসব জানে

দেবী চতুর্ভুজাং নমঃ

আরো জানে,

(মূর্ত্তিমান) নগদ-নারায়ণের প্রদর্শিত চার হাত ও আঙ্গুলের বিন্যাস

আর

মাথার পেছনে শোভিত

দেহের মাঝারে

(সাতস্থ) কুণ্ডলিনী সত্তার প্রকাশে

(সাতের পালকরূপী) পঞ্চমুখী সাপের প্রতীক! …

এবং

সারাদিন কাজ শেষে

(চারের বিন্যাসে)

বুকের পকেটে টাকা রাখা

তুমিও

জেনে রাখ

পূর্ব্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণে চয়নকারী,

নিঃস্তব্ধ সন্ধ্যার কোলে (কালের মন্দিরে) কর চণ্ডী পাঠ! …

কেউ

হৃদয় ভরিয়ে দিলে কানায় কানায় …

হ্ও, প্রশংসায় পঞ্চমুখ! …

হৃদয়ের

নিভৃত বন্ধনে অঙ্গুরীয় চয়ন করা

তোমার

অনামিকাও জানে,

(পাঁচের পালনে)

বৃদ্ধা, তর্জ্জনী, মধ্যমা ও কনিষ্ঠার সংসারে

(চারের চয়নে) চঞ্চলা চপল চ-বর্গীয় সকল শব্দ …

বর্ণের সংখ্যাতত্ত্বে যাহা জানে,

শূন্যের ‘শ’

একের ‘এ’, দুইয়ের ‘দ’, তিনের ‘ত’

এবং

পাঁচের ‘প’, ছয়ের ‘ছ’, সাতের ‘স’, আটের ‘আ’, নয়ের ‘ন’ বর্ণ …

 

এবার, খাদ্যাভ্যাসে দেখ—

পাঁচের পালনে

পেটে

চারের চয়নে, চল্লিশায়

মুখে করেছ যে দান, তাহার কাহিনী জানে

তোমার

হাতের রেখায় (প্রকৃতি-অঙ্কিত)

প্রথমতঃ

পাঁচ আঙ্গুলের চোদ্দটা ভাগ—

যাহা

চয়ন, অস্তিত্বাদিকরণ, দান, দাতা! (…)

দ্বিতীয়তঃ

তালুর চারটা ভাগ—

যাহা

চয়ন, অস্তিত্ব, রক্ষক। (…)

তৃতীয়তঃ

কব্জি ও বাহুর দুইটা ভাগ—

যাহা

পাঁচ আঙ্গুল ও তালুর

(আঠার সংখ্যার) হাতের মুঠোয় ধারণ করা অন্ন

মুখে পুরে দেওয়ায়

‘দান,

(নবরূপে) উত্তীর্ণন,

সক্রিয়ন’ রূপে কাজ করে …

এবার

প্রতিটা ভাগে কাঁচি চালাও,

কর টুকরা টুকরা, পাবে (বিশ্বকর্ম্মার) বিশের সংবাদ—

সক্রিয়ন, বহন, শক্তিযোজকে

যাহা

(চয়নের) দুই হাতের

ফলাফলে

চারের পূর্ণ দশকে আঁকা চল্লিশা পুরাণ! …

এই ভাবে

(ব্যাক্তির পালক) সমাজসত্তার পালনে

চল্লিশ পরিবার

প্রতিবেশীর খবরাখবর না জানা আলিবাবা চল্লিশচোরের দেশে

জীবন

চিচিং ফাঁকের পটভূমিকা!

তবু

আহরণে ফসলের গান,

চারু মজুমদার মিছিল করছেন— ‘এ যুগের চাঁদ, কাস্তে! …’

তবে

এ’টুকু জানি না, এইসব গোপন খবর,

জানে কি জানে না, আকাশে উড্ডিন চাঁদতারা শোভিত পতাকা!

এবং

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটী!

তবু

ভুবন ডাঙ্গায়

ঈদের আগমনী চাঁদের আলোয় নেচে ওঠে মন উৎসবের রঙে,

কবির বয়ানে

শ্যামাঙ্গী খুকীর (কাণের লতির) ললিত কলায় দোলে তৃতীয়ার চাঁদ! …

এর মাঝে

চয়নে মুক্তির স্বাদ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বলছে—

বঙ্গোপসাগরের অববাহিকায় জেগে ওঠা

নদীমেখলা

শ্যামলী বাঙ্গালার নীড়ে

ধর্ম্মনিরেপক্ষতা,

গণতন্ত্র,

সমাজতন্ত্র ও আন্তর্জাতিকতাবাদের

চার খলিফায়

চারের ভিত্তির মর্ম্ম জানতে পারত বাহাত্তরের সংবিধান! …

 

চোদ্দকথা বলা …  চোদ্দঘাটে ঘোরা …

চাঁদসদাগরের দেশে

চয়নরহস্যে, আলোকদাতায়

এইসব

(চাঁদ জানুক কিংবা না জানুক) আমি জানি! …

আরো জানে,

সাতের সত্যের (জ্ঞানের নন্দনে)

চয়নরহস্যে

আলোকদাতায়

সদাশিবের মাথার চূড়ায় শোভিত (বাঙ্গালা বর্ণমালার) চন্দ্রবিন্দু! …

এবং

(সত্তার) উচ্চারিত সত্যের

প্রকৃতিপুরুষে

চোদ্দটা ধ্বনির শিবসূত্র জালে বেজে ওঠা ঢাকের নন্দন …

যাহা

বাঁধা থাকে চারের ত্রিশূলে …

 

ব্রহ্মাণ্ডের ভাণ্ডে

পাঠে

আঠার পুরাণ, আঠার মোকাম …

নৃত্যপর

গোধুলী সন্ধ্যায়

তিনপাগলের মিলনমেলায় (চারের চয়নে)

চোদ্+দ স্বরের ব্যাঞ্জনায়

(আঠারর আঠা লাগা) আঠার বৎসর বয়স জানে, জীবন নৈব… চ …

 

আর …

কেউ না জানলে, জেনে নিতে পারেন! …

যেহেতু

(সাত) সত্য আড়ালে থাকে, (তিন) তথ্য ঘুরাফেরা করে,

জীবনদিশায়

(তথ্যের সত্যকে) চারের চয়নে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *