প্রাক্-কথন
আদি-মধ্যযুগের শুরুতে (সম্ভবত ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শতক সাধারণ অব্দের মধ্যবর্তী কোনও সময়1) রচিত অমরকোশ (১.৬.৫) গ্রন্থে পুরাণের সবচেয়ে পরিচিত সংজ্ঞা ‘পুরাণং পঞ্চলক্ষণম্’ কথাটির উল্লেখ পাওয়া গেলেও কিন্তু এই পাঁচটি লক্ষণ কী, তা অমরকোশে বলা হয়নি। বিষ্ণুপুরাণ (৩.৬.২৪), বহ্নিপুরাণ (১.১৯), অগ্নিপুরাণ (১.১৪), গরুড়পুরাণ (১.২.২৭), কূর্মপুরাণ (১.১.১২), বরাহপুরাণ (২.৪) এবং আরও কয়েকটি পুরাণগ্রন্থেও এই একই সংজ্ঞার উল্লেখ করে একটি শ্লোক দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে অবশ্য পুরাণের এই পাঁচটি লক্ষণ, অর্থাৎ আলোচিত মুখ্য বিষয়ের নাম উল্লিখিত হয়েছে। এর মধ্যে সর্গ, প্রতিসর্গ ও মন্বন্তর তিন ধরনের পুরাকথা আর বংশ ও বংশানুচরিত (বা বংশ্যানুচরিত) দুই ধরনের ইতিবৃত্ত। দ্বিতীয় সহস্রাব্দ সাধারণ পূর্বাব্দের শেষদিক থেকে প্রথম সহস্রাব্দ সাধারণ পূর্বাব্দের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশে সূত ও মাগধরা জনপদের রাজসভায় আর জনবিরল অরণ্যে ব্রাহ্মণদের যজ্ঞ অনুষ্ঠানে পুরাকথা ও ইতিবৃত্ত শোনাতেন। সম্ভবত পুরাণের এই সংজ্ঞা সেই প্রাচীন মৌখিক ঐতিহ্যের যুগের স্মৃতিবাহক। সাধারণ পূর্বাব্দের প্রথম সহস্রাব্দের মাঝামাঝি থেকে ব্রাহ্মণ পুরোহিতরা সূত ও মাগধদের কাছ থেকে পুরাণকথা সংগ্রহ করে শ্লোকনিবদ্ধ পুথির রূপে লিপিবদ্ধ করে শাসকদের শোনাতে শুরু করার পর পুরাণগুলির চরিত্র ও আকার বদলে যায়। প্রথম সহস্রাব্দ সাধারণ পূর্বাব্দের মাঝামাঝি রচিত2 শাঙ্খায়ন শ্রৌতসূত্র (১৬.১-২) এবং আশ্বলায়ন শ্রৌতসূত্র (১০.৬-৭) গ্রন্থে দেখা যায়, বর্ষব্যাপী অশ্বমেধ যজ্ঞের সময় প্রতিদিনের অনুষ্ঠান শেষে পুরোহিতরা পুত্র ও অমাত্য পরিবৃত রাজাকে পারিপ্লব আখ্যান পাঠ করে শোনাতেন। পারিপ্লবের অর্থ একটানা দশটি তিথিতে দশটি পৃথক বিষয়ের রচনা পাঠ এবং পাঠের সেই ক্রমের এক চান্দ্র বছর ধরে (অর্থাৎ ৩৬ বার) পুনরাবৃত্তি। পারিপ্লবে পঠিত দশটি বিষয়ের অন্যতম ছিল পুরাণ। তবে প্রথম সহস্রাব্দ সাধারণ পূর্বাব্দের শেষার্ধে পারিপ্লবে পঠিত পুরাণের স্বরূপ সম্বন্ধে আজ অনুমান করা কঠিন।
বিদ্যমান সংস্কৃত পুরাণ গ্রন্থসমূহে পঞ্চ লক্ষণ ছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয় বর্ণিত এবং এই পাঁচটি বিষয় বর্ণিত বিষয়সমূহের সামান্য একটি অংশ মাত্র।3 সম্ভবত সেই কারণেই মত্স্যপুরাণে (৫৩.৬৪-৬৬) পূর্বে উল্লিখিত পুরাণগুলির মতো পঞ্চ লক্ষণের শ্লোকটি উল্লেখ করার পর ব্রহ্মা, বিষ্ণু, সূর্য ও রুদ্রের মাহাত্ম্য এবং ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ সম্পর্কিত বিবরণকেও পুরাণের বিষয়তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীকালে ভাগবতপুরাণে (১২.৭.১০) বলা হয়েছে, পাঁচটি লক্ষণ কেবল অল্প (অর্থাৎ ক্ষুদ্র) পুরাণ গ্রন্থগুলির জন্য প্রযোজ্য, মহৎ (অর্থাৎ বৃহৎ) পুরাণ গ্রন্থসমূহের জন্য নয়। ভাগবতপুরাণে ঐ গ্রন্থের জন্য প্রযোজ্য দশটি লক্ষণ (২.১০.১-৭) এবং অন্যান্য বৃহৎ পুরাণগ্রন্থগুলির জন্য প্রযোজ্য পৃথক দশটি লক্ষণ (১২.৭.৯-১৯) নির্ধারিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি বিষয় সর্গ, বিসর্গ, সংস্থা (প্রলয়), হেতু ও অপাশ্রয় অধিবিদ্যা এবং ২টি বিষয়, রক্ষা ও অন্তর (অর্থাৎ মন্বন্তর) পুরাকথা। বাকি ৩টি বিষয়ের মধ্যে বংশ ও বংশ্যানুচরিত ইতিবৃত্ত আর বৃত্তি সামাজিক অনুশাসন সংক্রান্ত নির্দেশ। অনেক পরবর্তীকালের ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে (শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ড।১৩৩.৬-১০) পঞ্চ লক্ষণের শ্লোকটি উল্লেখ করার পর বলা হয়েছে, এই পাঁচটি লক্ষণ কেবল উপপুরাণসমূহের বৈশিষ্ট্য। মহাপুরাণগুলি এই পাঁচটি লক্ষণের সঙ্গে আরও দশটি অতিরিক্ত লক্ষণবিশিষ্ট। পরম্পরাগত সংজ্ঞায়নে পুরাণ গ্রন্থাবলির ক্রমাগত সংশোধন ও পরিবর্তনকে উল্লেখ করা সম্ভব ছিল না। সেই কারণে এই সংজ্ঞাগুলি থেকে সংস্কৃত পুরাণগ্রন্থসমূহের বিবর্তনের পরিচিতি পাওয়া অসম্ভব। তা সত্ত্বেও ভাগবতপুরাণ (১২.৭.৯-১০) বা ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের (শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ড।১৩৩.৬-৭) সংজ্ঞায় পুরাণ গ্রন্থগুলির ক্রমিক পরিবর্ধনের স্পষ্ট ইঙ্গিত বিদ্যমান।
আধুনিক যুগে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তাঁর ১৯২৮ সালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে4 পরম্পরাগত সংজ্ঞায়নগুলিকে বাস্তবসম্মত নয় বলে বাতিল করে দিয়ে ‘মহাপুরাণ’ নামে পরিচিত গ্রন্থগুলিকে বিষয় ও বিবর্তনের নিরিখে ৬টি শ্রেণিতে বিভক্ত করেন। পরবর্তী কালে মহামহোপাধ্যায় পাণ্ডুরঙ্গ বামন কানে এই একই ধারা অনুসরণ করে পুরাণ গ্রন্থগুলিকে ৪টি শ্রেণিতে বিভক্ত করেন। তিনি তাঁর শ্রেণিবিভাগে পুরাণের বিবর্তনের দিকটি বিবেচনা করেননি। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কৃত শ্রেণি বিভাগের প্রথম শ্রেণিতে রয়েছে, রামায়ণ, মহাভারত, হরিবংশ, গীতা প্রমুখ গ্রন্থের সংক্ষিপ্তসার এবং সংস্কৃত কাব্য, ছন্দ, ব্যাকরণ, অলংকার, নাট্যশাস্ত্র, আয়ুর্বেদ, স্থাপত্যবিদ্যা, প্রতিমানির্মাণ প্রভৃতি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত রচনার সমন্বয়ে বিশ্বকোষপ্রতিম পুরাণসমূহ। দ্বিতীয় শ্রেণির পুরাণে আছে তীর্থ ও ব্রত সম্পর্কে বিবরণ; এই শ্রেণির পুরাণগুলি তিনি মনে করেন বহুবার সংশোধিত হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির পুরাণগুলি সম্পর্কে তাঁর অনুমান অন্তত দু’ বার সংশোধিত হয়েছে। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ইতিহাস ও ভূগোল বিষয়ক রচনা সম্বলিত পুরাণগুলিকে চতুর্থ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করেছেন। পঞ্চম শ্রেণির পুরাণগুলিতে তাঁর মতে কোনও না কোনও একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবনা প্রতিফলিত। কয়েকটি পুরাণের ক্ষেত্রে তিনি মনে করেছিলেন, প্রাচীন পুরাণ সম্পূর্ণ লুপ্ত হয়েছে, এবং বিদ্যমান পুরাণ সম্পূর্ণ অন্য একটি রূপ, এই পুরাণগুলিকে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেখেছিলেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী স্কন্দপুরাণকে দ্বিতীয় শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করে এই পুরাণ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, “This Purana has gone out of recognition by revision”। তিনি এই নিবন্ধে তাঁর এই মন্তব্যের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন আর সেই ব্যাখ্যার সূত্র ধরেই স্কন্দপুরাণের সার্ধ সহস্রাব্দের বিবর্তনের ইতিহাসের সন্ধানে এই যাত্রা।
মুদ্রিত সংস্করণের ইতিহাস
বিগত এক শতক ধরে প্রকাশিত বিপুলাকার মুদ্রিত সংস্করণগুলির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হলে স্কন্দপুরাণকে বৃহত্তম সংস্কৃত পুরাণগ্রন্থ বলে অভিহিত করা ছাড়া উপায় নেই। স্কন্দপুরাণের প্রথম মুদ্রিত সংস্করণ ১৮৬৭ সালে বম্বইয়ের বেঙ্কটেশ্বর প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। এই সংস্করণে স্কন্দপুরাণের ৭টি খণ্ড; খণ্ডগুলি আবার বেশ কিছু সংখ্যক মাহাত্ম্য ও খণ্ডের সংকলন; এই মাহাত্ম্য ও খণ্ডগুলি কিছু সংখ্যক অধ্যায়ে বিভক্ত। ১৯১০ সালে বেঙ্কটেশ্বর প্রেস থেকে আর একটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়। স্কন্দপুরাণের আরেকটি মুদ্রিত সংস্করণ সিদ্ধিনাথ ত্রিবেদী কৃত হিন্দি অনুবাদ সমেত লখনউয়ের নবল কিশোর প্রেস থেকে বিংশ শতকের প্রথম দশকে প্রকাশিত হয়। এই মুদ্রিত সংস্করণের স্কন্দপুরাণও সাতটি খণ্ড বিশিষ্ট। ১৯১১ সালে কলকাতার বঙ্গবাসী প্রেস থেকে প্রকাশিত পঞ্চানন তর্করত্ন সম্পাদিত এবং তারাকান্ত কাব্যতীর্থের বাংলা অনুবাদ সমন্বিত সংস্করণেও স্কন্দপুরাণ গ্রন্থের কাঠামো প্রায় একই রকম। তবে খণ্ড ও মাহাত্ম্যগুলির নাম ও অধ্যায়ের সংখ্যায় সংস্করণগুলির মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে।এরপর ১৯৬০ সালে কলকাতা থেকে মনসুখরায় মোর তাঁর সম্পাদনায় গুরুমণ্ডল গ্রন্থমালা সিরিজের ২০ সংখ্যক গ্রন্থ হিসেবে স্কন্দপুরাণের একটি সংস্করণ প্রকাশ করতে শুরু করেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত স্কন্দপুরাণের অবন্তী খণ্ডের উত্তরার্ধ পর্যন্ত প্রকাশিত হওয়ার পর এই সংস্করণের প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়, নাগর খণ্ড ও প্রভাস খণ্ড প্রকাশিত হয়নি। ১৯৮১-১৯৮২ সালে দিল্লির নাগ পাবলিশার্স তিন খণ্ডে (প্রথম খণ্ডের তিনটি ভাগ) স্কন্দপুরাণের সাত খণ্ডের বেঙ্কটেশ্বর প্রেস সংস্করণের পুনঃপ্রকাশ করে। ১৯৮৬-১৯৮৭ সালে নাগ পাবলিশার্স থেকে ৭ খণ্ডে স্কন্দপুরাণের একটি পুথির আকারে সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। এই সংস্করণে একটি বিস্তারিত বিষয়ানুক্রমণিকা যোগ করা হয়। দিল্লির মোতিলাল বনারসীদাস প্রকাশন সংস্থা ২৩ খণ্ডে বেঙ্কটেশ্বর প্রেস সংস্করণের পাঠের ইংরেজি অনুবাদ কয়েক দশকে প্রকাশ সম্পূর্ণ করেছে। ২০১১ সালে এই অনুবাদ গ্রন্থের শেষ খণ্ডটি প্রকাশিত হয়েছে। ভারতে প্রকাশিত এই সংস্করণগুলিতে স্কন্দপুরাণের যে সাত খণ্ডাত্মক রূপের দেখা পাওয়া যায়, তা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন তীর্থস্থান সম্পর্কে রচিত মাহাত্ম্য বা স্থলপুরাণ গ্রন্থসমূহের একটি সংকলন।
১৯৮৮ সালে নেপালের অভিলেখালয়ে সংরক্ষিত তিনটি প্রাচীন তালপাতার পুথির ভিত্তিতে সংস্কৃত বিদ্বান কৃষ্ণপ্রসাদ ভট্টরাই মহেন্দ্ররত্নগ্রন্থমালা সিরিজের দ্বিতীয় গ্রন্থ হিসাবে ‘স্কন্দপুরাণস্য অম্বিকাখণ্ড’ গ্রন্থটি নেপালের কাঠমান্ডু থেকে প্রকাশিত হয়। ভট্টরাই সম্পাদিত এই সংস্করণটি প্রকাশের স্বল্পদিনের মধ্যেই বোঝা যায় এই গ্রন্থটি স্কন্দপুরাণের কোনও খণ্ড নয়, এই পুরাণ গ্রন্থের একটি প্রাচীন রূপের প্রথম মুদ্রিত সংস্করণ। এও বোঝা যায়, ১৮৩ অধ্যায় বিশিষ্ট এই অখণ্ড রূপটি এর আগে প্রকাশিত সাত খণ্ডের মুদ্রিত সংস্করণগুলির রূপ থেকে অনেক সংক্ষিপ্ত ও পৃথক একটি রূপ। স্কন্দপুরাণের ভট্টরাই সম্পাদিত সংস্করণ প্রকাশের পর বিশ্ব জুড়ে সংস্কৃত বিদ্বানদের মধ্যে আলোড়ন শুরু হয়ে যায়। স্কন্দপুরাণের প্রাচীন রূপের একটি সমীক্ষাত্মক সংস্করণ ও ইংরেজি সংক্ষিপ্তসার প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়। দশটি খণ্ডে সমীক্ষাত্মক সংস্করণটি সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা করা হয়। ১৯৯৮ সালে নেদারল্যান্ডসের খ্রোনিঙেন থেকে স্কন্দপুরাণের সমীক্ষাত্মক সংস্করণের প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়। এরপর, সমীক্ষাত্মক সংস্করণের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম ভাগ ২০০৫ সালে, দ্বিতীয় ভাগ ২০১৪ সালে, তৃতীয় খণ্ড ২০১৩ সালে, চতুর্থ খণ্ড ২০১৮ সালে ও পঞ্চম খণ্ড ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছে।
[ক্রমশঃ]
তথ্যসূত্র
- Hans T. Bakker, ‘Origin and Growth of the Purāṇic Text Corpus, With Special Reference to the Skandapurāṇa’; Delhi: Motilal Banarsidass, 2004.
- Heinrich von Stietencron, Angelika Malinar, K.-P. Gietz, A. Kollmann, P. Schreiner and M. Brockington edited, ‘Epic and Purāṇic Bibliography (up to 1985) annotated and with indexes, Part II S-Z, Indexes’; Wiesbaden: Otto Harrassowitz, 1992, pp. 1160-1170.
- Ludo Rocher, ‘The Purāṇas’; Wiesbaden: Otto Harrassowitz, 1986.
- R.C. Hazra, ‘Studies in the Purāṇic Records on Hindu Rites and Customs’; Dacca: The University of Dacca, 1940, pp. 157-166.
- R. Adriaensen, H.T. Bakker, and H. Isaacson, “Towards A Critical Edition of the Skandapurāṇa” in ‘Indo-Iranian Journal, Vol. 37, Issue 4 (Jan 1994)’; Brill, 1994, pp. 325—331.
পাদটীকা
- M. Winternitz (Subhadra Jha translated), ‘History of Indian Literature, Vol. 3’; Delhi: Motilal Banarsidass, 1985, p. 494.
- Brian K. Smith, ‘Reflections on Resemblance, Ritual, and Religion’; New York: Oxford University Press, 1989, p. 120.
- P.V. Kane, ‘History of Dharmaśāstra, Vol. V, Part 2’; Poona: Bhandarkar Oriental Research Institute, 1962, p. 841.
- Haraprasad Shastri, “The Maha-Puranas” in ‘Journal of the Bihar and Orissa Research Society, Vol XIV, Part III’; Patna: Bihar and Orissa Research Society, 1928, pp. 323-340.